National Institute of Opthalmology & Hospital
Sat - Thu: 8:00 am - 2:30 pm
Emergency 24/7
By Admin
November 08, 2025
বয়সের সঙ্গে শরীরের কোষ ও টিস্যু ধীরে ধীরে দুর্বল হয়। চোখের লেন্স শক্ত হয়ে যায়, রেটিনার কোষগুলো আগের মতো কাজ করে না, এবং চোখে পর্যাপ্ত অশ্রু তৈরি কমে যায়। ফলাফল — চোখের ফোকাস কমে যায়, রঙ বা আলো বুঝতে অসুবিধা হয়, এবং চোখ শুষ্ক অনুভূত হয়।
তবে সুখবর হলো, নিয়মিত চোখ পরীক্ষা এবং প্রতিরোধমূলক যত্ন নিলে বেশিরভাগ বয়সজনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
ক্যাটারাক্ট বা ছানি হলো সবচেয়ে সাধারণ বয়সজনিত চোখের সমস্যা। এতে চোখের লেন্স ধীরে ধীরে ঘোলা হয়ে যায়, ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়, আলোতে অস্বস্তি লাগে, এবং রাতে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয়।
সমাধান: আধুনিক ফ্যাকো সার্জারি (Phaco Surgery) এখন ক্যাটারাক্ট চিকিৎসার সবচেয়ে নিরাপদ ও সফল পদ্ধতি।
Vision Eye Hospital-এ রয়েছে অভিজ্ঞ সার্জন ও উন্নত লেন্স ব্যবহারের সুবিধা, যা দ্রুত আরোগ্য ও পরিষ্কার দৃষ্টি ফিরিয়ে দেয়।
গ্লুকোমাকে বলা হয় “নীরব দৃষ্টিচোর” — কারণ এটি ধীরে ধীরে চোখের অপটিক নার্ভ নষ্ট করে দেয়, অনেক সময় রোগী বুঝতেই পারেন না।
লক্ষণ: পার্শ্ব দৃষ্টি কমে যাওয়া, চোখে চাপ অনুভব, মাঝে মাঝে ঝাপসা দেখা।
সমাধান: প্রাথমিক পর্যায়ে গ্লুকোমা চিকিৎসা করলে দৃষ্টিশক্তি সংরক্ষণ সম্ভব। Vision Eye Hospital-এ গ্লুকোমা স্ক্রিনিং ও চাপ নিয়ন্ত্রণ চিকিৎসা নিয়মিতভাবে করা হয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে রেটিনার কেন্দ্রীয় অংশের ক্ষয় শুরু হয়, যাকে বলা হয় ম্যাকুলার ডিজেনারেশন। এতে কেন্দ্রীয় দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়, কিন্তু পাশের দৃষ্টি ঠিক থাকে।
সমাধান: নিয়মিত চক্ষু পরীক্ষা, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার, এবং চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা ইনজেকশন গ্রহণ।
বয়স বাড়লে চোখে অশ্রু উৎপাদন কমে যায়, ফলে চোখ শুকিয়ে যায়, জ্বালা করে, এবং অস্বস্তি অনুভূত হয়।
সমাধান: কৃত্রিম অশ্রু (Artificial Tears) ব্যবহার, পর্যাপ্ত পানি পান, এবং স্ক্রিনের সামনে দীর্ঘ সময় না থাকা।
৪০-এর পর থেকে ছোট অক্ষর পড়তে সমস্যা হওয়া প্রেসবাইওপিয়ার প্রধান লক্ষণ। এটি চোখের প্রাকৃতিক ফোকাসিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণে হয়।
সমাধান: রিডিং গ্লাস বা মাল্টিফোকাল লেন্স ব্যবহার। Vision Eye Hospital-এ রয়েছে উন্নত মানের লেন্স পরামর্শ ও পরীক্ষার ব্যবস্থা।
১. নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করুন – অন্তত বছরে একবার চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
২. স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন – গাজর, মাছ, ডিম, এবং সবুজ শাকসবজি চোখের জন্য উপকারী।
৩. সূর্যের আলো থেকে চোখ রক্ষা করুন – বাইরে বের হলে UV সুরক্ষিত সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
৪. ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলুন – এগুলো রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত করে।
৫. রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখুন – এগুলো চোখের রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
৬. চোখে কোনো পরিবর্তন হলে অবহেলা করবেন না – দ্রুত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।